বৈদ্যবাটী পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশিষ্ট সমাজসেবী দেবাশীষ দাস, বয়স(৪৫)রানা। বুধবার সকালে মৃত্যুর খবর এলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে । স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে কথাটি বিশ্বাস করতে পারনি। মানুষের প্রতি তার স্নেহ ভালোবাসা ছিল এবং পৌরসভার সব কটি ওয়ার্ডের মানুষ যেভাবে বিশ্বাস করতো ফলে মানুষের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা আকাশছোঁয়া উঠে হয়ে উঠেছিল । গত সোমবার সকালে বাড়িতে বুকে ব্যথা অনুভব করে বাড়ির সদস্যরা প্রথমে শ্রীরামপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কারণে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তাকে পাঠানো হয়। কলকাতায় তিন দিন চিকিৎসার পর বাড়িতে ফিরে আসেন দেবাশীষ দাস। বাড়িতে তিন দিন কাটানোর পর মঙ্গলবার সকালে পূনরায় বুকের ব্যথা অনুভব করেন। সঙ্গে সঙ্গে সকাল ১০ টায় কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয় তাকে। বুধবার ভোররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সকাল হতেই এই খবর চাওর হতেই শোকের ছায়া নেমে আসে বৈদ্যবাটি শেওড়াফুলি শহরজুড়ে
। সকাল থেকেই তার বাড়ি এবং ওয়ার্ডের দলীয় কার্যালয়ে অসখ্য সাধারণ মানুষ ভিড় জমাতে থাকে। কলকাতা হাসপাতাল থেকে সকাল দশটায় নিয়ে আসা হয় উত্তরপাড়া মহামায়া মাতৃ সদনে। কারন মৃতদেহ রাখার পরিকাঠামোর থাকার সেখানে তাকে রাখা হয়। পরিবারের সদস্যরা বাইরে থাকেন সেই জন্য। বিকেল পাঁচটা নাগাদ তার মৃতদেহ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সন্ধ্যে ৬ টা নাগাত মৃতদেহটি বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। যে পথ আসতে সময় লাগে মাত্র ২৫ মিনিট, সেই পথেই আসতে সময় লাগলো এক ঘন্টার বেশী কিছু সময়। মানুষের মনে তিনি কতটা জায়গা করে নিয়েছিলেন রাস্তা দিয়ে আসার সময় দুপাশে মানুষের ভীড় দেখে তা বুঝতে কারো অসুবিধা হয়নি। শ্রীরামপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়, পরে তার বৈদ্যবাটি পৌরসভা তার মৃতদেহ কিছুক্ষণের জন্য রাখা হয় এবং সেখানে শ্রদ্ধা জানানো হয়। রানা বাবুর মৃতদেহ তার বাড়ি আসার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার দু'পাশে মানুষের ভিড় উপচে পড়ে যদি রানা বাবুকে শেষ একবার দেখা যায়, কারণ সাধারণ মানুষের একটাই বক্তব্য বিপদে-আপদে যখনই ডাকতাম কাউন্সিলারকে কাছে পেতাম । তিনি কোন দল দেখতেন না, তিনি শুধু সমস্যা কথা শুনে সমধানের চেষ্টা করতেন। সামনে পৌরসভা ভোট। তৃনমূল কাউন্সিলার এর মৃত্যুতে বড় ক্ষতি হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।